প্রকাশিত: Mon, Dec 5, 2022 2:35 PM
আপডেট: Sat, Jun 14, 2025 7:18 PM

পরাজয়ের চার বছর পরও আইএস সদস্য ও তাদের স্বজনে ঠাসা সিরিয়ার অনেক বন্দিশিবির

সাইফুল ইসলাম: উত্তর সিরিয়ায় পশ্চিমা কোয়ালিশন বাহিনীর হেলিকপ্টারের নিচে আল-রোজ বন্দিশিবির। এখানকার বাসিন্দারা পুরো বিশ্বের কাছে বিস্মৃত। এরা আইএস যোদ্ধাদের পরিবারের লোকজন। তারা যেসব দেশের নাগরিক তারা এদেরকে তাদের নিজেদেরদেশে ফেরৎ নিতে চায় না। খাদিজা নামের এক ইরানি নারী  জানালেন তিনি তার মেয়েকে ফিরিয়ে নিতে এসেছিলেন। যে, আইএসের এক যোদ্ধাকে বিয়ে করেছেন। কিন্তু, কেন তিনি অনেক আগেই ফিরে যাননি? কোন উপায় ছিলোনা। আমরা আটকা পড়ে যাই। বহু টাকার দরকার ছিল যা আমার ছিলোনা। শিবিরের কর্তৃপক্ষ বলছে- এমন সব দাবীর সত্যতা যাচাইকরা শক্ত। উত্তর সিরিয়ায় এমন সব বন্দি শিবিরে হাজার হাজার নারী-পুরুষ-শিশু আটকা পড়েছে। তাদের এখন কি হবে- এমন প্রশ্নের উত্তর কারো কাছে নেই। অনেক দেশই তাদের এই নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে অনিচ্ছুক। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে কোয়ালিশন বাহিনী বলছে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। বিবিসি

কোয়ালিশন বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার কার্ল হ্যারিসন বলেন, মতাদর্শতো বদলায়নি। অনেকে এখনও ঐ মতাদর্শ ধারন করে। অনেকে এখনও দায়েশের কট্টর সমর্থক। বিষয়টি ঠিকমত অনুধাবন করে ব্যবস্থা না নিলে পরে সমস্যা হবে।

আল-হাউরি আটক শিবির কতৃপক্ষ কিশোর তরুনদের কট্টোর মতাদর্শ থেকে ফেরানোর চেষ্টা করছেন। যাতে তারা বাইরে গিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে। 

বিবিসি বাংলাকে এক ব্যক্তি বলেন- আমি আইএসে যোগ দেইনি, আমার বয়স ছিলো দশ বছর। আমি যানতামই না সিরিয়া কি এবং কোথায়? আমার বড়ভাই আসিমকে (যে আইএস যোদ্ধা ছিলো) তাকে আমি তিউনিসিয়া থেকে ফিরিয়ে এনেছি। আমাকে মুক্তি দিয়ে অন্যদের কারাগারে ভরা উচিৎ। আমি ফুটবল খেলতে চাই, ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সুযোগ আমার জন্য শেষ। বয়স্ক স্বজনদের আপরাধের পরিনতি ভোগ করতে হচ্ছে আমাদের। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও আমাদের জন্য কিছুই করছে না। দেশে ফেরার আশা তাদের শেষ হয়ে গেছে। সম্পাদনা: খালিদ আহমেদ